বর্ণে বর্ণ ছোঁয়া , অক্ষরে অক্ষর । তারপর হয়তো শুন্যতা । আবার শব্দ । শব্দে শব্দে ছোঁয়াছুঁয়ি । শুন্যতার সংযোগ । ...ছেদ । ...যতি । অক্ষরের নৈশব্দে সৌন্দর্যের সঞ্চালন । অসুন্দরের জাগরণচিহ্ন । আমার বর্ণে হারিয়ে যাওয়া , তারপর শুন্যতায় । কবিতায় ।
কবিতা তো কবি রচিত ভাষা । শব্দে শব্দে ছড়িয়ে রাখা ইশারা । অনেকরকম । নানান রং-এর আলো । আলো মিশ্রিত অন্ধকার । অনেকরকম । কখনো কবিতা হয় আলো-আঁধারী খেলা । পাঠভাবনায় খেলতে থাকে আলো । অন্ধকার । একটু একটু করে হারিয়ে যাওয়া । কোন এক আনন্দে । জেগে ওঠা । হারিয়ে যাওয়ার ভেতর ।
কবিতা কবির ভালোলাগা । কিংবা না ভালোলাগা । না ভালোলাগা প্রকাশ করার ভালোলাগা । কবিতা তো অনেক কিছুই । আবার কিছুই নয় ।
কবিতা আসলে অনেক কিছুকে নিজের মতো করে ভাবা । নিজের মতো । যা পাঠ করলে অন্যের চিন্তনকেও স্পর্শ করে । ভাবায় । কবিতার মধ্য দিয়ে চ্যাট করে কবি ও পাঠক । কথা বলে । গল্প করে । অনুপস্থিত কবির উপস্থিতি টের পায় পাঠক । দূরের অনেক কিছুই কাছাকাছি আসে । কবিতা এমন কিছু । যা পড়ে ফেলার পর ফুরিয়ে যায় না । বরং চিন্তাচিন্তনে ছড়িয়ে পড়ে । অনেক দূর যায় । কবিতা লিখতে । পাথরে খোদাই করার জন্য চায় পাথর । গাছের শুকনো ছাল , পাতা আর পাতার রস বা কালি । কাগজ কলম চায় । চায় রং-তুলি-ক্যানভাস । কিংবা চায়, মোবাইলের কি-প্যাড অথবা কম্পিউটারের কি-বোর্ড মাউস । কিংবা লোকালয়ে শুধুই উচ্চারণ । শব্দের পর শব্দ । ...ছন্দ ...। শুনতে শুনতে মনের ভেতর গেঁথে যাওয়া । হৃদয় জুড়ে অনুরণন ।
কবিতা আসলে কবির দেওয়া তথ্য । তথ্য । যা কোনো না কোনো ইদ্রিয়কে ছুঁয়ে যায় ।
কোলাকুলি করে । কবিতা আসলে কিছুই নয় । আবার অনেক কিছু ।
(পাতা নং ১৯ / ২৩)
No comments:
Post a Comment